Header Ads

Header ADS

কেন আপনি ৩০ আগে বিয়ের জন্যে ভাবেন


একজন ছেলে যখন ৩০ এর গন্ডি পেরিয়ে ৪০ এর দিকে ছুটতে থাকে, তখন বিয়ে করার তেমন যৌক্তিক কারণ আর থাকে না৷ শারীরিক বা মানসিক সাপোর্ট পাওয়ার জন্যে যেই সময়টা একদম সর্বোচ্চ ছিলো সেগুলো প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে সে অতিক্রম করে এসেছে। ক্যারিয়ার কিংবা পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটবে এই দোহাই দিয়ে একজন ছেলেকে যখন বিয়ে থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়, তখন সে ধীরে ধীরে নিজের মন মানসিকতাকে সেভাবেই সেট করতে থাকে এবং এটাকে গ্রহণ করে নিতে শিখতে থাকে।

অনেকেই হয়তো এখানে গার্লফ্রেন্ড কিংবা হস্তমৈথুনের কথা টেনে আনতে পারেন। এর কোনোটাই সমাধান না। লুকিয়ে প্রেম করা কিংবা হস্তমৈথুন করা, অন্তত একজন মুসলিমের জন্যে সমাধান হতে পারে না বরং এটা হারাম। বিয়ের ক্ষেত্রে মানুষ যেমন নানারকম বাঁধার ভয় দেখায়, আসলে তেমন কিছুই নেই।
সিঙ্গেল লাইফেও কি চ্যালেঞ্জ নেই? তেমনি বিবাহ পরবর্তী জীবনেও চ্যালেঞ্জ থাকবেই। অনেক ছেলেকেই বলতে শোনা যায় নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করবেন। কিন্তু, সেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা আর হয়ে ওঠা হয় না। কারণ, চাহিদার তো শেষ নেই। এতে অনেক বাবা মায়েরাও খুশি হন এই ভেবে যে বিয়ের মতো উটকো ঝামেলা তাদের ছেলে করছে না। "বিয়ের ভূত" শব্দটা সম্ভবত এমন বিবাহ বিরোধী কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচারে অভ্যস্ত সুশীল।


বাবা মায়েরা হয়তো ভাবতে চায় না, বারো থেকে পনের বছরে বালেগ হয়ে যাওয়া ছেলে আরো বিশ কিংবা পঁচিশ বছর বিয়ে না করে কীভাবে থাকবে। এটা এমন সময় যেখানে কষ্ট করে টাকা খরচ করে খারাপ জায়গায় যাওয়া লাগে না। ইচ্ছা হলেই মোবাইলে সব করা যায়। আরো খারাপ লোকদের জন্যে খারাপ অন্ধকার রেস্টুরেন্ট আছে। এখন গুনাহ করাটাই যেনো বেশি সহজ।

ত্রিশের পরে যখন ছেলের বিয়ের আর তেমন আগ্রহ কিংবা প্রয়োজন কোনোটাই থাকে না, তখন হয়ত সবাই উঠে পরে লাগে ছেলের বিয়ের জন্যে । কেবল সামাজিকতা রক্ষা, "লোকে কী বলবে?" আতঙ্ক থেকে মুক্তি এবং বংশের বাতি জ্বেলে রাখার জন্যে বিয়ে করতে হয়। অধিকাংশক্ষেত্রে দেখা যায়, এখানে স্বামী-স্ত্রী কেবল নিজেদের বাবা মা কিংবা সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থেকে সংসার টিকিয়ে রাখে৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়তো তারা হাসিমুখের ছবি আপলোড করেন; তবে তারা যে নিজের সাথে নিজেরাই প্রতারণা করছেন সেটাও তারা জানেন।

এই কথাগুলো বলা হলো পরবর্তী প্রজন্মের বাবা মায়েদের জন্যে। বিয়েটা যেনো তারা সহজ করেন। অযথা লৌকিকতার খাতিরে যেনো তাদের সন্তানদের পবিত্র মনগুলো বিকৃত না করে ফেলেন।


©Shobair Bhai

No comments

Powered by Blogger.